দেশরাজ্যসাহিত্যের পাতা

নেতাজির ১২৮ তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে হাওড়ার ডঃ কানাই লাল ভট্টাচার্য কলেজে পূর্ণাবয়ব মূর্তি উন্মোচন হলো

সৈকত দাস,(হাওড়া) : পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৮তম জন্মদিন পালন হচ্ছে ।

বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৩শে জানুয়ারি সকাল থেকেই দেশের বীর সন্তান নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিভিন্ন দলের নেতৃত্ব ।১৮৯৭ সালের এই দিনে তিনি ওড়িশার কটক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই সুভাষ চন্দ্র বসু ছিলেন মেধাবী এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ। প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনা শেষে তিনি ইংল্যান্ডে গিয়ে আইসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তবে বিদেশি সরকারের অধীনে কাজ করা তাঁর আদর্শের বিরুদ্ধে ছিল। তিনি সেই চাকরি ত্যাগ করেন এবং নিজেকে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য উৎসর্গ করেন।

নেতাজীর ১২৮তম জন্মদিন উপলক্ষে ড: কানাই লাল ভট্টাচার্য্য কলেজের উদ্যোগে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর পূর্ণবয়ব মূর্তি স্থাপন করা হয়, এই মূর্তিটি উন্মোচন করলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী তথা হাওড়া শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক এবং প্রাক্তন ভারতীয় দলের ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি মহাশয়।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এই কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ কৌস্তভ লাহিড়ী, পরিচালন সমিতির সভাপতি পার্থ সারথী অধিকারী, সদস্য শচীন্দ্র নাথ দাস সহ কলেজের সমস্ত অধ্যাপক – অধ্যাপিকা ও কলেজের সমস্ত ছাত্র ছাত্রীরা। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মন্ত্রী নেতাজীর পূর্ণবয়ব মূর্তিতে মাল্যদান করেন, এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এই ভাবেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন পালন করা হয় হাওড়ার ডঃ কানাই লাল ভট্টাচার্য কলেজে।

https://youtu.be/zP6jRPbCpzg?feature=shared

এদিন সকালে বহু স্থানে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।

বিশ্বের ইতিহাসেও হয়ত এমন কোনো মনিষী বা মহাপুরুষ নেই, যার জন্মদিন জানলেও মৃত্যুদিন জানি না আমরা। কিন্তু এখানেই ব্যতিক্রম নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। প্রত্যেক বছর মহাসমারোহে তার জন্মদিন পালন করা হয়। তিনি কিন্তু তিনি বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন, সেই প্রশ্নের উত্তর আজও সকলের কাছে অজানা।

আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আজ নেতাজির জন্ম জয়ন্তী পালনের দিনে তাকে নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

প্রসঙ্গত, এদিন উত্তরবঙ্গের মাটি থেকে নেতাজির জন্ম জয়ন্তী পালনে শামিল হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “দুঃখ হয় যে, আমরা নেতাজির জন্মদিন জানি। কিন্তু তার কি হলো, কোথায় হারিয়ে গেলেন, আমরা জানি না। উনি বড় চক্রান্তের শিকার। দেশের জন্য কত লড়াই করেছেন, অথচ সেই মানুষটা কোথায় হারিয়ে গেল। আমরা আর ফিরে পেলাম না। এই দুঃখ রয়ে যাবে।”

Related Posts

Leave A Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *