কলকাতা: বর্তমান সময়ে সারা বিশ্ব জুড়ে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পাশাপাশি মাতৃ জাতিরাও বুদ্ধের প্রচার এবং প্রসারে
পরিশ্রম করে চলেছেন। এবার গৌতম বুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে কলকাতার এক অষ্টাদশী কলেজ পড়ুয়া শ্রেষ্ঠা বড়ুয়া সহ তিন মহিলা ত্রি- চীবর গৈরিক বসন পরিধান করে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার প্রসার ও ব্রহ্মচর্য পালনের সিদ্ধান্ত নিলেন।
মাঘীপুর্নিমা উপলক্ষে কলকাতার টালিগঞ্জ সম্বোধি বুদ্ধ বিহারে, টালিগঞ্জ ম্যুর এভিনিউ বুদ্ধ সমিতির ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে শ্রামণী দীক্ষা প্রদান করেন ডক্টর অরুনজ্যোতি ভিক্ষু ভান্তে। তার আগে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা সহ অনেকে এক পদযাত্রায় মিলিত হন। এছাড়াও ছিল বুদ্ধ পূজা, সংঘদান, বৌদ্ধ ধর্মে নারী স্বাধীনতা- অতীত ও বর্তমান বিষয়ে এক আলোচনা সভা। রাজ্যের যুব কল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সহ বহু বিশিষ্ট মানুষ এদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তাইওয়ান থেকে ভিক্ষুণীরা অংশগ্রহণ করেন।
ডক্টর অরুণজ্যোতি -ভিক্ষু বলেন,জাতি ধর্ম-বর্ণ ও লিঙ্গ বিভাজন ভুলে আজ থেকে ২৫৬৮ বছর আগে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন গৌতম বুদ্ধ। তিনিই প্রথম মেয়েদের জন্যে একটা বিধিবদ্ধ সংঘ ব্যবস্থা ও মিশনারি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।
বৌদ্ধ ভিক্ষুরা যেহেতু ব্রহ্মচর্য পালন করেন তাই স্বচ্ছতা বজায় রাখতে কোনো ভিক্ষুনী সঙ্ঘ তৈরি হয়নি এতদিন ভারতে। তবে সারা বিশ্বের মতো আজ কলকাতার মেয়েরা যেভাবে বুদ্ধের প্রচারে জীবন উৎসর্গ করতে এগিয়ে এসেছেন তাতে গৌতম বুদ্ধের যে বানী অহিংসা পরম ধর্ম তা সাধারন মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া যাবে। বছরব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের ঘোষনা করা হয় টালিগঞ্জ বৌদ্ধ সমিতির পক্ষ থেকে।