হুগলি উত্তরপাড়া: অটিজম সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রতি বছর ২ এপ্রিল পালিত হয় ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’।
বুধবার দিনটি পালিত হল হুগলি জেলার উত্তরপাড়ায়। এ উপলক্ষে এক অভিভাবক সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয় । উপস্থিত ছিলেন বহু খ্যাতনামা বক্তা, অভিভাবক ও বিশেষজ্ঞরা, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল অটিজম সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা ও কুসংস্কার দূর করা।
বিশিষ্ট স্পিচ-ল্যাঙ্গুয়েজ প্যাথলজিস্ট ড. মোঃ সহিদুল আরেফিন বলেন,”অটিজম কোনো রোগ নয়,এটা পৃথিবীকে দেখার এক ভিন্ন ধরণ। কিন্তু সময়মতো সহায়তা না পেলে এই ভিন্নতা-ই প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়।
তিনি বলেন, প্রতিদিন অভিভাবকরা আমাদের কাছে আসেন চোখে জল আর ভয় নিয়ে। সমাজের কটু কথা শুনে তারা ভেঙে পড়েন।
‘আপনার ছেলে কিছুই শিখবে না’, ‘মেয়েটা কিছু বোঝে না’ এইসব কথা শুনতে হয় তাদের। কিন্তু আধুনিক গবেষণায় এর উন্নত চিকিৎসা রয়েছে। তার জন্যে মানুষকে কুসংস্কারের বাইরে বেরিয়ে চিকিৎসক ও স্পিচ ল্যাঙ্গুয়েজ প্যাথলজিস্টদের পরামর্শ নিতে হবে।
ড. আরেফিন জানান, জন্মের পর প্রথম ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে যদি অটিজম নির্ণয় করে স্পিচ থেরাপি শুরু করা যায়, তবে শিশুর যোগাযোগ, শেখা ও সামাজিক দক্ষতা অনেক উন্নত হয়। নিয়মিত থেরাপির মাধ্যমে অনেক নির্বাক শিশু কয়েক মাসের মধ্যেই অর্থপূর্ণভাবে কথা বলা শুরু করতে পারে। কারন শিশুর মস্তিষ্ক সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য থাকে ছোটবেলায়। আমরা যদি অপেক্ষা করি, তবে সেই সম্ভাবনাটা নষ্ট হয়ে যায়।
আয়োজক তরুন দাসগুপ্ত বলেন, ইনক্লুসিভ স্কুল পরিবেশ, ছোটদের স্ক্রিন টাইম কমানো, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের প্রশিক্ষণ, এবং গ্রামীণ ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জন্য স্থানীয় থেরাপির ব্যবস্থা করাও অত্যন্ত জরুরি।