কলকাতারাজনৈতিকরাজ্য

বিধানসভায় তৃণমূল সরকারের অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ।

কলকাতা: মঙ্গলবার বিধানসভার বাইরে গেরুয়া পাগড়ি মাথায় শুভেন্দু অধিকারী।
মঙ্গলবার বিধানসভার বাইরে গেরুয়া পাগড়ি মাথায় শুভেন্দু অধিকারী।

বিধানসভার ভিতরে বক্তৃতা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাইরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ভিতর-বাইরে পরস্পরের বিরুদ্ধে তোপ দাগা হবে, এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু বিরোধী দলনেতার বক্তৃতার প্রায় পুরোটা জুড়েই রইল ‘হিন্দু রাজনীতি’। বাকি সময়টুকুতে মমতার প্রশাসনকে আক্রমণ।

মঙ্গলবার বিধানসভার দক্ষিণ গেটের কাছে ১৮ মিনিটের সামান্য বেশি সময় নিয়ে ভাষণ দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। বক্তৃতায় তিনি বার বার দাবি করেন, হিন্দুদের হয়ে কথা বলার জন্য তাঁকে বিধানসভার অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করা হয়েছে। তবে বিজেপি বিধায়কেরা ওই ‘সাসপেনশন’ নিয়ে ‘গর্বিত’। কারণ, তাঁরা ‘সনাতনী হিন্দু’।

প্রসঙ্গত, সোমবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অধিবেশন থেকে শুভেন্দুকে সাসপেন্ড করার পর মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে বিধানসভায় স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। অধিবেশনের শুরুতেই সেই নোটিস পাঠ করেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। শাসকদলের তরফে জানানো হয়, ‘ধর্ম’ নিয়ে মন্তব্যের জন্যই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ওই পদক্ষেপ। স্পিকার আশঙ্কা প্রকাশ করেন, শুভেন্দুর কথায় মানুষ প্ররোচিত হলে বাংলা ‘অশান্ত’ হতে পারে। শোভনদেব বলেন, ‘‘ন্যক্কারজনক ব্যবহার করেছে। জাতির লজ্জা। গণতন্ত্রের লজ্জা। তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। আশা করি, সারা দেশের ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ ধিক্কার জানাবেন।’’ প্রস্তাবে সমর্থন জানান তৃণমূল বিধায়ক অরূপ বিশ্বাস এবং দেবাশিস কুমার।

Related Posts

Leave A Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *