সৈকত দাস, হাওড়া:
জামাই ষষ্ঠীর প্রাক্কালে রবিবার সকালে হাওড়ার ঐতিহাসিক মঙ্গলাহাটে আচমকা আগুন লাগায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। জামাই ষষ্ঠী উপলক্ষে হাটে প্রচুর পরিমাণে জামাকাপড় আমদানি ও রফতানি হচ্ছিল, ঠিক তখনই হঠাৎ আগুন লেগে যায় হাটের একাংশে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকল বাহিনী। আটটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল হাওড়া।
আগুনের সঠিক কারণ এখনও স্পষ্ট না হলেও প্রাথমিকভাবে শর্ট সার্কিটকেই দায়ী করা হচ্ছে। আগুনে কয়েকটি দোকান পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। হাটে আগুন লাগার ঘটনায় বহু ব্যবসায়ীর জামাইষষ্ঠীর আগের ব্যবসা কার্যত ভেস্তে যায়।
হাওড়া হাট সমন্বয় সমিতির সেক্রেটারি শ্রী শম্ভু ঘোষ বলেন, “ভাগ্য ভাল যে রবিবার আগুন লেগেছে। যদি সোমবার বা মঙ্গলবার লাগত, যখন হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন, তাহলে বড়সড় বিপর্যয় ঘটতে পারত।” তিনি আরও জানান, “এই হাটের আশপাশে অনেক কাপড় ব্যবসায়ী থাকলেও তাঁরা হাটের পরিকাঠামো বা নিরাপত্তার দিকে নজর দেন না। হাওড়া হাটের মধ্যে ১৪টি হাট রয়েছে। সময় থাকতেই সতর্ক না হলে, ভবিষ্যতে এই হাট পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।”
এদিকে দমকল বিভাগের তরফে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। হাটে নিয়মিত অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক ব্যবসায়ী। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সংস্কার ও আধুনিক অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা চালু করা হোক।
স্থানীয় প্রশাসনও ঘটনার গুরুত্ব বুঝে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে একটি অডিট টিম গঠন করে পুরো হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হতে পারে বলেও সূত্রের খবর।