বিশেষ প্রতিবেদন,
দেবাশিস মজুমদার :
“সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল”,
আপামর বাঙালির কাছে এই আপ্ত বাক্যটি সর্বদা সঙ্গী। পৃথিবীর মানুষের আর “বাঙালির” সবচাইতে মজাদার খেলার নাম “ফুটবল”। আমাদের একটি চালু কথাই আছে,”বাংলা আজ যা ভাবে,সারা ভারতবর্ষ সেটা আগামীকাল ভাবে”।দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে প্রায় সর্বত্রই বাংলার অবদান অনস্বীকার্য।
দেশের প্রতিটি স্থানে সেটা ফুটবল হোক বা গান, সিনেমা,কবিতা,উপন্যাস, কোনটা ছেড়ে কোনটা বলবো,সর্বত্রই বাংলার গৌরবের পতাকা হৈ হৈ করে উড়ছে আজও। বাংলার ফুটবলের কথা মনে পড়লেই মোহনবাগান,ইস্টবেঙ্গল আর মোহামেডান ক্লাবের কথা মনে করিয়ে দেয়। এই তিনটি ক্লাব ই ছিল সারা ভারতবর্ষের সমস্ত রাজ্যের ফুটবলের যাদুকর। ভারতের প্রায় সমস্ত টুর্নামেন্টেই এই তিনটি ক্লাবের জয় কেউ আটকাতে পারত না। সেটা দিল্লির ডুরান্ড কাপ হোক বা বোম্বের রোভার্স কাপ,সবেতেই ফাইনাল খেলা হতো বেশিরভাগ সময়েই এই তিনটি ক্লাবের মধ্যে। ভারতীয় দলের যে সদস্যরা থাকতেন তার প্রায় পুরোটাই ছিল এই বাংলা এবং বাঙালি খেলোয়াড় নির্ভর। এখন যে কোনো কারণেই হোক,(হতে পারে কোনো প্রাদেশিকতার কারণ) বাংলাকে কিছুটা পেছনে রাখবার জন্যই হয়তো বাঙালি ফুটবলারের সংখ্যা কমানো হয়েছে,প্রায় নেই বললেই চলে। কলকাতার ফুটবল মানেই সেই মোহনবাগান আর ইস্টবেঙ্গল,অর্থাৎ ঘটি বাঙ্গালের লড়াই।কি উন্মাদনা,সেটা কলকাতায় হোক আর ভিন রাজ্যে।
ইলিশ আর চিংড়ির লড়াই সম্মুখসমরে জমে ওঠে বার বার। ঠিক যে ভাবে জমে উঠেছে মোহনবাগান ক্লাবের নির্বাচন। এই ক্লাবের সচিব পদের যে নির্বাচন হতে চলেছে,সেটা রাজ্যের যে কোনো ভোটের থেকে কম কিছু নয় এর উন্মাদনা। দেবাশিস দত্ত ও সৃঞ্জয় বসুর যে নির্বাচিত হওয়ার লড়াই,সেটা দারুণ ভাবে সাড়া ফেলেছে।দুজনেই দুজনের খুব প্রিয় দাদা ও ভাই,কিন্তু এই মুহূর্তে দুজনেই সম্মুখসমরে দাঁড়িয়ে আছেন।ক্লাব অন্ত প্রাণ এই দুজনেরই আসল লক্ষ্য ক্লাবের সাফল্য।আসলে এই ক্লাবটিতে বহু দিকপাল মানুষ এসেছেন,কিন্তু সাম্প্রতিক কালে টুটু বসু মহাশয়ের মতো এতো সাড়া জাগিয়ে অনেকেই আসেননি,ক্লাব অন্ত প্রাণ এই মানুষটি আপাদমস্তক মোহনবাগানী।কিন্তু তার মানে এই নয় যে অন্যেরা মোহনবাগানী নন,সবাই মোহনবাগান ক্লাবকে ভালোবাসেন,কিন্তু টুটু বসু কে দেখেছি,মোহনবাগানের