নয়াদিল্লি, ১২ মে ২০২৫:
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণে দেশের জনগণকে আশ্বস্ত করেন যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত কোনোক্রমেই আপস করবে না। “অপারেশন সিন্দুর” নামক সামরিক অভিযানের পটভূমিতে প্রদত্ত এই ভাষণে তিনি পাকিস্তানের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ভারতের প্রতিক্রিয়া এবং ভবিষ্যৎ কৌশল স্পষ্টভাবে তুলে ধরেন।
অপারেশন সিন্দুর: ভারতের জবাব
প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ নাগরিক প্রাণ হারানোর পর ভারত সরকার ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এই অভিযানে পাকিস্তান সীমান্তের ওপারে সন্ত্রাসী ঘাঁটি, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও অস্ত্র মজুদের জায়গায় নির্ভুল আঘাত হানা হয়।
মোদী বলেন, “অপারেশন সিন্দুর শুধুমাত্র একটি সামরিক প্রতিক্রিয়া নয়, এটি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের প্রতিজ্ঞার প্রতিচ্ছবি।”
পাকিস্তানের প্রতি কঠোর বার্তা
ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী কড়া ভাষায় পাকিস্তানকে সতর্ক করে বলেন, “ভারতের বিরুদ্ধে যদি কেউ আবার সন্ত্রাসী হামলা চালায়, আমরা আমাদের শর্তে, আমাদের কৌশলে উপযুক্ত জবাব দেব। ভারত কোনো পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না।”
তিনি পাকিস্তান সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে আরও বলেন, “যে রাষ্ট্র সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়, তাদের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের কোনো পার্থক্য নেই। সন্ত্রাসের মূলোৎপাটনে ভারত পিছু হটবে না।”
ভারতের প্রতিরক্ষা ও জাতীয় ঐক্য
ভাষণে প্রধানমন্ত্রী তিন বাহিনী—বায়ুসেনা, সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর পেশাদারিত্ব ও সাহসিকতার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “আমাদের বাহিনীর প্রতিটি সদস্য সীমান্তে ও প্রতিরক্ষা ঘাঁটিতে সর্বদা প্রস্তুত। ভারতের নিরাপত্তা রক্ষায় তারা জীবন উৎসর্গ করতেও পিছপা হন না।”
নতুন সন্ত্রাসবিরোধী নীতি
প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানান, অপারেশন সিন্দুর ভারতের নতুন কৌশলগত অবস্থানের প্রতীক। “এখন থেকে আমরা শুধু প্রতিরক্ষা নয়, হুমকির উৎসেই আঘাত হানব,”—বলেন তিনি।
তিনি জনগণকে শান্ত ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান এবং বলেন, ভারত সরকার ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি ভাষণে ভারতীয় জনতা যেমন সাহস ও নিরাপত্তার বার্তা পেয়েছে, তেমনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের দৃঢ় অবস্থান বিশ্ববাসীর কাছেও পরিষ্কার হয়েছে। “অপারেশন সিন্দুর” শুধু একটি প্রতিক্রিয়া নয়—এটি এক নতুন যুগের সূচনা, যেখানে ভারত তার নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আরও কার্যকর ও আত্মবিশ্বাসী।