কলকাতাদেশফটো গ্যালারিবিনোদনরাজ্যসাহিত্যের পাতা

জন্ম শতবর্ষে সলিল চৌধুরীর স্মৃতি রোমন্থন

https://youtu.be/o1aLMObHgKc?feature=shared

News Video Link:

সৈকত দাস,কলকাতা:–  জন্ম শতবর্ষে সলিল চৌধুরী –এই উপলক্ষে এই বছর বিভিন্ন স্থানে সলিল চৌধুরী অনুরাগীগন তাঁর জন্ম শতবার্ষিকীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্মরণ করছেন তাঁর কর্মজীবনকে। সঙ্গীত অনুরাগীদের কাছে তাঁর কাজ, তাঁর চিন্তা ধারা হল রান্নার মসলা র মত। অনুপ্রেরণা যোগায় গান বাজনায়।

বাংলা সংগীত জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, শুধুমাত্র সুরস্রষ্টা হিসেবেই নন, একজন কবি, সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তিনি। লোক সংগীত, পশ্চিমী ধাঁচের মেলবন্ধনে তাঁর সুর ও সংগীত এক অসাধারণ ছন্দময়তার নিদর্শন রেখে গেছে । তাঁর গানে যেমন প্রেমের মাধুর্য্যতার ছাপ স্পষ্ট, তেমনি সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার এক গভীর ছাপ লক্ষ করা যায়। বিপ্লব, প্রেম, এবং সমাজ সচেতনতা মিলিয়ে তাঁর গানে এমন এক আবেগ ফুটে উঠেছিল, যা বাংলা সংগীতকে এক ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে। ভারতের চলচ্চিত্র সংগীতে তিনি ছিলেন এক জাদুকরী স্পর্শ ।

তাঁর জন্ম ও কর্ম জীবনকে স্মরণ ও স্মৃতি চারণের উদ্দ্যেশ্যে ‘সলিল চৌধুরী’র জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে ‘কলকাতা সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভিটি’তে ২ থেকে ৫ এপ্রিল, এক চিত্র প্রদর্শনী ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।

এই অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন স্বনামধন্য সঙ্গীত শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য। উপস্থিত ছিলেন উদ্যোগের মধ্যমণি সলিল চৌধুরীর সুযোগ্য কন্যা অন্তরা চৌধুরী ও পুত্র সঞ্জয় চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সলিল চৌধুরীর সহায়ক বেহালা বাদক দূর্বাদল চট্টোপাধ্যায়, সঙ্গীত শিল্পী স্বপন বসু, প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক কল্যাণ সেন বরাট , সুরকার কঙ্কন ভট্টাচার্য, সুরকার অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় , লেখক শুভ দাস গুপ্ত সহ আরো অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিগন ।

এই অনুষ্ঠানে সলিল চৌধুরীর জীবনী নিয়ে “দেশলোক” একটি প্রত্রিকার সুভ সূচনা হয়।

সলিল চৌধুরীর জন প্রিয় সঙ্গীত “পথে এবার নামো সাথী” গানটির ইংরেজি ভাষায় সংস্করণ ও প্রকাশ করেন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সুরকার কঙ্কন ভট্টাচার্য ও তাঁর কন্যা। যা ইতিমধ্যেই বিদেশে সারা ফেলেছে।

বর্তমান যুগে সঙ্গীত পরিবেশন হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে, আদোও কি পারবে টেক্কা দিতে মানুষের বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে সঙ্গীত পরিচালনা কে? এই প্রশ্নের উত্তরে, সঙ্গীত বিশেষজ্ঞরা আমাদের সাংবাদ মাধ্যমে জানান তাঁদের অভিঞ্জতা ও উত্তর ।তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা(Artificial Intelligence) দিয়ে গান বানাচ্ছে অনেকেই, কিন্তু মানুষের মন,আবেগ দিয়ে যে গান ও সুর রচনা হয় সেইটা কোনদিন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) করতে পারবে না।

Related Posts

Leave A Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *