সৈকত দাস, কলকাতা: কলকাতা সাগর অভিযাত্রীদের ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে এবার সফলভাবে তার ২৮ তম অভিযান সম্পন্ন করেছে। ভারতের এই অলাভজনক সংস্থা, যা একদিকে নদী এবং সামুদ্রিক অ্যাডভেঞ্চার এবং অন্যদিকে জলজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সংযোগস্থলে কাজ করে।
গত ১০ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ একটি ২৭ ফুট বিনা মোটর চালিত নৌকা নিয়ে এই সংস্থার সাত জনের একটি দল কলকাতা সুন্দরী ঘাট থেকে সুন্দরবনের সুস্নি দ্বীপ পর্যন্ত , ৩২০ কিমি যাত্রা শুরু করেন ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ তারিখে এবং সফল ভাবে যাত্রা শেষ করে ফিরে আসেন অনেক বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে। ফিরে আসার পর ঐ ইন্সটিটিউট একটি সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে তাঁদের এই দূর্গম অভিযানের অভিঞ্জতা বর্ণনা করেন।
সাগরকে ডানদিকে রেখে দলটি সোজা চলে গিয়েছিল মৌসুনি দ্বীপের দিকে। হার্ডউড পয়েন্ট অতিক্রম করার পরেই প্রচুর পরিমাণে ম্যানগ্রোভ পান সেখানে। বারবার ম্যাপ পড়ার পর রুট নির্ধারণ করতে হতো। বঙ্গোপসাগরে কয়েক কিলোমিটার সারি সারি করে নৌকা চলে গেল সুসনি দ্বীপের দিকে। দলের সদস্যরা কেউ এর আগে এই দ্বীপে যাননি। দলকে অভিনন্দন জানাতে এগিয়ে আসে ফ্রেজারগঞ্জ পুলিশ। এরপরই শুরু হয় পিছিয়ে যাওয়ার যাত্রা। যাত্রায় ডলফিনের বেশ কিছু পোড প্রত্যক্ষ করা হয়েছে। দলটি উল্লেখ করেছে যে নদীতে যে পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য জমা হচ্ছে তা উদ্বেগজনক। মাছ ধরার জাল মাছের চেয়ে বেশি প্লাস্টিক ধরে। বিভিন্ন স্থান থেকে পলি ও জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
সংক্ষেপে বলতে গেলে, অভিযাত্রীরা একটি চমৎকার কাজ করেছেন এবং অদম্য চেতনার উদাহরণ দিয়েছেন।
এই সাত জনের নাম –তাপস চৌধুরী, অসিম মন্ডল,পুস্পেন সামন্ত, মমিন আলি মন্ডল বিশ্বজিৎ মন্ডল,পার্থ মন্ডল,যতীনময় মিশ্রা।