বৈজ্ঞানিক কৌশলে বিদ্যুৎ চুরি, অবশেষে ধরা পড়লো তিন অভিযুক্ত

প্রতিবেদন: সৈকত দাস, হুগলি

বিদ্যুৎ চুরি রুখতে কড়া তৎপরতা— তবুও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে চতুরতার সঙ্গে বিদ্যুৎ বিল এড়িয়ে চলছিলেন সিঙ্গুর থানার দেওয়ানভেরীর বাসিন্দা সমীর পাঁজা। অভিযোগ, তাঁর বাড়ির বৈদ্যুতিক মিটারে বিশেষ প্রযুক্তি সম্পন্ন একটি যন্ত্র লাগিয়ে প্রতি মাসে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করেও কম বিল দেখানো হতো। এই প্রক্রিয়া গত ছয় মাস ধরে চলছিল বলে জানা গিয়েছে।

বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকদের নজরে বিষয়টি আসার পর গোপন তদন্ত শুরু হয়। সন্দেহের ভিত্তিতে পরিদর্শন করতে গিয়ে সামনে আসে পুরো চিত্র। এরপর ১৫ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিক অনুপ কুমার গেয় সিঙ্গুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে সিঙ্গুর থানার পুলিশ ভারতীয় বিদ্যুৎ আইন ১৩৫(১) সেকশন বি, সি ও ডি অনুযায়ী মামলা রুজু করে তদন্তে নামে। প্রথমে সমীর পাঁজাকে তাঁর বাড়ি থেকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তদন্তে উঠে আসে, এই বিদ্যুৎ চুরির চক্রে আরও দুই ব্যক্তি যুক্ত ছিলেন। তাঁদের ৩ নভেম্বর পুলিশি তলবে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং প্রাথমিক প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপর তিনজন অভিযুক্তকেই চন্দননগর আদালতে পেশ করা হলে আদালত চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। বিদ্যুৎ দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই যন্ত্র ব্যবহার করে প্রায় তিন লক্ষ টাকার বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।

পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রের পিছনে আর কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি এমন প্রযুক্তি লাগিয়ে বিদ্যুৎ চুরির আরও কোনও ঘটনা এলাকায় ঘটছে কি না, তা নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে।

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।