কলকাতাদেশরাজ্যসুসাস্থ্যা

কানে শোনার সমস্যা কমাতে বিশ্ব শ্রবণ দিবসে শ্রবণ সুরক্ষায় পদযাত্রা

কলকাতা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী সারা বিশ্বজুড়ে ১.৫ বিলিয়ন মানুষ শ্রবণ সমস্যায় ভুগছেন।

 ২০৫০ সালের মধ্যে যা ২.৫ বিলিয়নে পৌঁছাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এর মধ্যে ১ বিলিয়নের বেশি তরুন তরুণী উচ্চস্বরে গান শোনা ও অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহারের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছেন। ভারতবর্ষেও প্রতিবছর ১.১৭ লক্ষ শিশু জন্মগতভাবে শ্রবণ প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মায়। অথচ উপযুক্ত সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সময়মতো চিকিৎসক বা শ্রবণ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিলে কানে শোনা,কথা বলার সমস্যা সহ নানা অসুবিধা বহুলাংশে সমাধান করা যায়।

 এই কথা মাথায় রেখেই প্রতি বছর ৩ মার্চ বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বিশ্ব শ্রবণ দিবস। কলকাতায় এ উপলক্ষে স্পিচ এন্ড হিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার পশ্চিমবঙ্গ শাখার উদ্যোগে এক সচেতনতামূলক পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হলো রাসবিহারী ক্রসিং থেকে গড়িয়াহাট পর্যন্ত। বাক ও শ্রবণ বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি যারা এই ধরনের সমস্যায় ভুগছেন সেই সব ছেলে মেয়ে এবং তাদের বাবা-মায়েরাও পদযাত্রায় অংশ নেন। তবে পদযাত্রার মূল উদ্যোক্তা ও সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক মোঃ শাহিদুল আরেফিন বলেন, এবছর বিশ্ব শ্রবণ দিবসের মূল থিম হল ‘ভাবনার পরিবর্তন আনুন, নিজেকে সচেতন করুন। সবার জন্য কান ও শ্রবন সুরক্ষা নিশ্চিত করুন।’

তিনি বলেন, শিশুদের শ্রবণ সমস্যা নির্ণয়ের জন্য ইউনিভার্সাল নিউবর্ন হিয়ারিং স্ক্রিনিং নামে একটি সহজ পরীক্ষা রয়েছে, যা উন্নত দেশগুলিতে ৯৮% এর বেশি নবজাতকের এই পরীক্ষা করা হয়। অথচ ভারতে তা মাত্র ৫-১৫ শতাংশ শিশু এই সুবিধা পান। এজন্য মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। ইন্ডিয়ান স্পিচ ল্যাঙ্গুয়েজ হিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি ড. বাবুল বসু বলেন,উচ্চ আওয়াজ, অযথা গাড়ির হর্ন বাজানো সহ নানা কারনে কানের ক্ষতি হয়৷ এই সব জিনিস থেকেও দূরে থাকতে হবে।

 শিশুমঙ্গল হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের চিকিৎসক অমৃতা ভট্টাচার্য বলেন, অতিরিক্ত হেডফোন ব্যাবহারের ফলেও কানে শোনার সমস্যা বাড়ছে৷ এ ব্যাপারেও মানুষকে সচেতন হতে হবে। 

কানে শোনার সমস্যা থেকে যারা সাধারন জীবনে ফিরে এসেছেন সেই সব ছেলে মেয়েদের বাবা মায়েরা জানান,এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে ভেঙে না পড়ে বিশেষজ্ঞদের কাছে যান। সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে।

Related Posts

Leave A Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *