সৈকত দাস: বিশ্ব কবিতা দিবস উপলক্ষে উচ্চারণের দ্বিতীয় উপস্থাপনায় রবী ঠাকুরের শ্রেষ্ঠ গ্ৰন্থ গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত কিছু কবিতা পাঠ করা হয় ২১ শে মার্চ ২০২৫ , স্বামী প্রণবানন্দ সেবা নিকেতন আশ্রম প্রাঙ্গণে।
এই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত কবিতা গুলির মধ্যে উপস্থাপনায় সংযোজিত হয়েছিল কিছু বাছাই করা কবিতা।
স্বামী প্রণবানন্দ সেবা নিকেতনের শিশু কিশোর আবাসিকদের নিয়ে সারা বছরই চলে অবৈতনিক সাপ্তাহিক আবৃত্তি প্রশিক্ষণ। এবার ওদের সঙ্গেই অনাড়ম্বর কিন্তু আন্তরিকভাবে উদযাপিত হলো বিশ্ব কবিতা দিবসে কবিতার উচ্চারণ। ২১মার্চ সকাল ৮টায় আশ্রমপ্রাঙ্গণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বাচিক শিল্পচর্চা কেন্দ্র উচ্চারণ-এর বিভিন্ন শাখার প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
পরিবেশিত হয় রবিপ্রণাম, ফুল ফুটিয়ে যাবেই তারা বসন্ত উৎসবে এবং জার্নি শীর্ষক সমবেত আবৃত্তির অনুষ্ঠান।
আশ্রমের প্রধান ওমি বিশ্বাসের সামগ্রিক পরিচালনায় আবাসিকরা মিলিত কণ্ঠে শোনান যাবে আমাদের গ্রামে এবং প্রার্থনা।
আশ্রমের আবাসিকদের আবৃত্তিচর্চার জন্য সুকান্ত সমগ্র বইটি তাঁদের হাতে তুলে দেন সঙ্গীতশিল্পী মহুয়া ভট্টাচার্য। টেলিফোনে শুভকামনা জানান আবৃত্তিশিল্পী পাপিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। উচ্চারণ-এর প্রশিক্ষক রিয়া ধর, রূপা বৈরাগী, স্নেহা সরকার ও প্রসিদ্ধা বিশ্বাসের অক্লান্ত পরিশ্রমে এদিনের অনুষ্ঠান সর্বাঙ্গসুন্দর রূপলাভ করে। অনুষ্ঠান সংযোজনায় ছিলেন সুলগ্না পাল। পায়ে পায়ে পঁচিশে ভবিষ্যতে এমনই আরও নানান পরিকল্পনা আছে বলে জানান অধ্যক্ষ চন্দ্রজিৎ প্রামাণিক।